নিউ নর্মালে ফুরচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পালা, কী ভাবে পোষ্যকে ফেলে যাবেন পেট পেরেন্টসরা?
নয়াদিল্লি: কোভিডের মরণ কামড় থেকে বাঁচতে গত মার্চে লকডাউনের খাঁচায় বন্দি হয় গোটা দেশ৷ সেই অবসরেই জুন মাসে প্রথম নিজের হাতে পোষ্যকে ঘরে এনেছিলেন প্রখর কাপুর৷ গিয়ার্স অফ ওয়ারে তাঁর প্রিয় চরিত্রের নামানুসারে পোষ্যের নাম দিয়েছিলেন মার্কাস৷
বছর ২৯-এর প্রখর কাপুর পেশায় ইঞ্জিনিয়ার৷ তিনি পঞ্চাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা৷ লকডাউনে ঘর বন্দি থাকার সময় একাকীত্ব কাটাতে প্রখর ঠিক করেন, একটি কুকুর ছানা ঘরে আনবেন৷ সেই মতোই কিনে আনেন একটি ল্যাব্রাডর৷ নাম দেন মার্কাস৷ লকডাউনে একাকীত্ব কাটাতে মার্কাসই হয়ে ওঠে তাঁর একমাত্র সঙ্গী৷ কিন্তু লকডাউনের সেই পর্ব কাটিয়ে নিউ নর্ম্যালে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ৷ ধীরে ধীরে কর্মীদের দফতরে ফেরাতে শুরু করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু কী ভাবে ছোট্ট পোষ্যটিকে বাড়িতে একা রেখে যাবেন প্রখর? কী ভাবেই বা তাঁকে ছেড়ে থাকবে মার্কাস? সেই চিন্তাতেই ব্যাকুল প্রখর৷
হতাশ সুরেই তিনি বলেন,‘‘ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অফিস জয়েন করতে হবে আমায়৷ কিন্তু আমি মার্কাসকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন৷ আণায় না পেয়ে ওর প্রতিক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে সত্যিই চিন্তায় পড়েছি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কাস আমার উপস্থিতিতে অভ্যস্ত৷ ১৫ মিনিটের জন্য চোখের আড়াল হলেও ও কেঁদে ফেলে৷ আমি জানি না ৯ ঘণ্টার জন্য বাইরে বেরলো ও কী করবে৷’’
প্রখরের এক বন্ধুর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই পোষ্য রয়েছে৷ তার পরামর্শেই প্রাণী আচরণবিদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷ যে কিনা মার্কাসকে আরও বেশি আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করবেন৷ প্রথর বলেন, ‘‘আমি চাই না মার্কাস বিচ্ছেদজনিত উদ্বেগে ভুগুক৷’’
লকডাউনে ভারতের মতো বিশ্বের আর কোনও দেশে এত বেশি পোষ্য ঘরে আনা হয়নি৷ আর এখন জীবন যখন ফের নিজের গতি ফিরে পেতে শুরু করেছে, যখন প্রিয় পোষ্যটিকে ঘরে একা রেখে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে, তখন একরাশ চিন্তা ভর করেছে প্রখরের মতো বাকি পশুপ্রেমীদের মনেও৷
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
হ্যাঁ, আমি অনুদান করতে ইচ্ছুক >
কোনগুলো শিশু নির্যাতন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। জানাচ্ছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্য গোপাল দে।